বাড়ির দেয়াল ভেঙে হাসপাতালে নিয়েও বাঁচানো গেল না নুরুলকে

  © সংগৃহীত

পাকিস্তানের পাঞ্জাবপ্রদেশের বাসিন্দা নুরুল হাসানের ওজন ছিল ৩৩০ কেজি। গত জুন মাসে লাহোর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে সাদিকাবাদ গ্রাম থেকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধার করা হয় নুরুল হাসানকে।

তার ওজনের কারণে নুরুল এতটাই স্থূলকায় ছিলেন যে, তাকে তার বাড়ির দরজা দিয়ে বের করা যায়নি। দেয়াল ভেঙে তাকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সার্জারির মাধ্যমে ওজন কমাতে গিয়ে মারা গেলেন পাকিস্তানের নুরুল হাসান।

আজ সোমবার লাহোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে হাসপাতালের চিকিৎসক মুয়াজ বলেন, ‘আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি সমস্যার কারণে মারা যান নুরুল হাসান।’তবে নুরুল হাসানের পরিবার বলছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন তিনি।

শরীরের ওজন কমিয়ে আনতে নুরুল হাসানের কয়েক দফা সফল সার্জারি করা হয়। কয়েক সপ্তাহ আগে নুরুল হাসান লাহোরের শালিমার হাসপাতালে একটি সার্জারি করিয়েছিলেন। এর আগে পাঞ্জাবে তার চিকিৎসা চলছিল।

পরে চিকিৎসার ব্যয় বহন করার সক্ষমতা না থাকায় নুরুল হাসানের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাবেদ বাজওয়া। তাকে পাঞ্জাব থেকে লাহোরের ওই হাসপাতালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়।

কয়েক দফা সার্জারির পর হঠাৎ শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে। সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পাকিস্তানের সবচেয়ে ওজনের এ ব্যক্তি। খবর: ডেইলি পাকিস্তানের।


সর্বশেষ সংবাদ