ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

  © সংগৃহীত

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের কোনো ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২০১৮ সালেও ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষত মুসলমানদের ওপরে হিন্দুত্ববাদী চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলির হিংসাত্মক আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে রিপোর্ট দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনটিকে মিথ্যা আখ্যায়িত করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন,যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিবেদনের মধ্যে কোনো সত্যতা নেই। এটি পুরোটাই ধারণার ওপর নির্ভর করে তৈরি। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এই দেশ তার ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য গর্ববোধ করে।

ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারও রিপোর্টটির বিরোধিতা করে তাকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছে। বিজেপি এমপি ও মিডিয়াপ্রধান অনিল বালুনি বলেন, ই-রিপোর্টের প্রধান বিষয় হিসেবে বলা হয়েছে,গত এক বছরে সংখ্যালঘুদের ওপর পরিকল্পনামাফিক অত্যাচার করা হয়েছে । এটা সম্পূর্ণ ভুল এবং মিথ্যা। গত এক বছরে যেসব সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো সবই ব্যক্তিগত ও স্থানীয় সমস্যা। এর সঙ্গে কোনোভাবেই ধর্ম যুক্ত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম-২০১৮ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের সরকার অনেক সময়ই সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। গো-হত্যার নামে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করেছে। এর ফলে প্রাণহানি পর্যন্ত হয়েছে।

ধর্মীয় স্বাধীনতা আরও বেশি ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভারতের ১০ রাজ্যে। এর মধ্যে রয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ছত্তীশগড়, গুজরাট, ওড়িষ্যা, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান।