নবাব সলিমুল্লাহর নাতির সহযোগিতায় স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে জোবায়েরের

  © টিডিসি ফটো

পড়ালেখায় প্রবল আগ্রহ তার। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল না হবার পরও মাধ্যমিক  পরীক্ষায় রেখেছেন কৃতিত্বের ছাপ। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল এখনো প্রকাশ না হলেও ভাল ফলাফলের আশা তার। কারন উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় পেয়েছেন গোল্ডেন জিপিএ-৫। স্বপ্ন তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার।

কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধে টিকতে হলে ভর্তি হতে হবে ঢাকার ভাল কোন কোচিং সেন্টারে। ঢাকায় গিয়ে কোচিং করার মতো সামর্থ্য নেই তার। বলছিলাম জয়পুরহাটের অদম্য মেধাবী জোবায়েরের কথা।

জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল জোবায়েরের। তার মা ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। যে কারণে বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে সে অন্যের খামারে কাজ করে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলো।

মায়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সমস্ত সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হয়েছে। জোবায়েরের মা এখন আর কাজ করতে পারেনা। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। তারপরেও তার মা স্বপ্ন দেখে জোবায়ের একদিন বড় কিছু হবে। মায়েরা এমনই! মৃত্যুর আগেও সে তার সন্তানের কথা সর্বপ্রথম কল্পনা করে। বুকভরা আর্তনাদ নিয়ে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ভাবতে থাকে, আমি মারা যাওয়ার পর আমার খোকার কি হবে?

অর্থের অভাবে প্রায় থেমে যাওয়া স্বপ্নের পুনর্জন্ম হয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা রাশেদ খাঁনের স্ট্যাটাসের মাধ্যমে। সোমবার দুপুরে এই নেতা তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জোবায়েরের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য সমাজের উচ্চবিত্তদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

রাশেদের স্ট্যাটাস দেয়ার এক ঘন্টার মধ্যে জোবায়েরের ঢাকায় এসে কোচিং করার সমস্ত কিছুর দায়িত্ব নেয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নবার স্যার সলিমুল্লাহর নাতি নবাব আলি হাসান আকসারি।

রাশেদ খাঁন তার পরবর্তি স্ট্যাটাসে নবাব আলি হাসান আকসারিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সমাজের ধনী মানুষগুলো এভাবে এগিয়ে আসলে আমাদের সমাজটা অনেক সুন্দর হবে এবং সমাজ থেকে সকল দুঃখকষ্ট দূর হবে।

জোবায়েরদের হাত ধরে নির্মিত হবে আগামীর বাংলাদেশ। জোবায়েররা কখনো হেরে যেতে পারেনা। জয় হোক মানবতার।


সর্বশেষ সংবাদ