মারজুক রাসেলের সমালোচনায় চটলেন ফারুকী

  © সংগৃহীত

এবার অমর একুশে বইমেলায় গীতিকার ও অভিনেতা মারজুক রাসেলের কবিতার সংকলন ‘দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর’ বইটি এসেছে। এটি ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ বিক্রির তালিকায় রয়েছে।

তার বইটি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই নানা ধরণের আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ১০ হাজারের বেশি কপি বই বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এরইমধ্যে ‘মারজুক রাসেল কেডায় আসলে?’ লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক ও শিক্ষক আফজার হোসেন।

আর এ মন্তব্যে চটেছেন খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এ প্রসঙ্গ টেনে মারজুককে নিয়ে ফেসবুকে লম্বা স্ট্যাটাস দিয়েছে তিনি। ফারুকীর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘ফেসবুকে মতামত দেয়া থেকে বিরত আছি বহুকাল। কিন্তু একটা বিষয়ে হৈচৈ দেখে কথা না বলে পারলাম না। মারজুক রাসেলের কবিতার বই বিক্রি হচ্ছে। এটা নিয়ে অনেকেই তাদের বিরক্তি প্রকাশ করছেন।

মারজুক আমার গভীর গোপনতম ভাই ব্রাদার। শুরুর দিকে ও যখন আমার সাথে থাকতে শুরু করে, তখন থেকেই ওর উপর এলিটিস্ট অবজ্ঞা দেইখা আসতেছি। প্রথম থেকেই এই অবজ্ঞা ঝাঁটা মারাকে আমার পবিত্র দায়িত্ব হিসাবে আমি তুলে নিছিলাম। সেটা করছি কোনো কথা না বলেই! একসাথে কাজ করার মধ্য দিয়ে।

এই অবজ্ঞার আরেকটা নমুনা দেখলাম আজফার হোসেনের পোস্টে। সেখানে উনি মারজুক রাসেল কেডা এটা জানতে চাইছেন। তা জানতে চাইতেই পারেন। না জানলে জানতে চাওয়াটা দোষের কিছু না। কিন্তু এই ধরনের পোস্টের উদ্দেশ্য যে ‘জানতে চাওয়া’ না হয়ে ‘তুচ্ছ করতে চাওয়াও’ হতে পারে এটা আজকার শিশুরাও বোঝে। আজফার ভাইয়ের কাজকর্মের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে।

সত্যিই যদি উনি জানতে চাইতেন তাহলে কাউকে জিগাইলেই পারতেন। বা ওর দুয়েকটা কবিতা ঘেটে পড়লেও পারতেন। পড়ার পর উনার ভালো লাগতে পারতো, খারাপও লাগতে পারতো। উনি ভাবতেই পারতেন এই কবিতার বই কেনার কী আছে। মানুষের হরেক রুচি। কারো এইটা ভালো লাগে, তো আরেকজনের ঐটা ভালো লাগে। কেউ স্ট্রেট, কেউ গে।

কিন্তু এইটুকু পরিশ্রম না করে ‘জানতে চাওয়া’ বিষয়ক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে আমার মনে হয় উনি কাউরে বাতিল করার এলিটিস্ট তরিকাটা অ্যাপ্লাই করলেন। উনার (এবং উনার মতো আরো অনুসন্ধিৎসুদের) সুবিধার্থে মারজুকের পরিচয় নীচে সংযুক্ত করা হইলো:

নাম: মারজুক রাসেল
মাতা: হোসনে আরা
পিতা: শেখ সিকান্দার
সাং: টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
জন্ম সময়: ১৫ আগস্ট, কোনো এক সময়।’


সর্বশেষ সংবাদ