বইমেলায় পলাশ সেনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তৃতীয় পুরুষ’

‘তৃতীয় পুরুষ’ কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদ
‘তৃতীয় পুরুষ’ কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদ  © টিডিসি ফটো

অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী পলাশ প্রসন্ন সেনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তৃতীয় পুরুষ’। কাব্যগ্রন্থটির প্রচ্ছদ করেছেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষক গুপু ত্রিবেদী। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করছে ভূমি প্রকাশ আর বইমেলার পরিবেশক গ্রন্থরাজ্য। এটি মেলার ৬০৫ নাম্বার স্টলে পাওয়া যাবে।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় মেলার মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে কাব্যগ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হবে। উঅনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন একুশে পদক পুরস্কার-২০১৯ এ ভূষিত বরেণ্য চিত্রশিল্পী অধ্যাপক জামাল আহমেদ এবং বিশিষ্ট লেখিকা ডাঃ তানজিনা হোসেন।

প্রথম কাব্যগ্রন্থের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে লেখক বলে, আমার মনে হয় প্রথম বইয়ের অনুভূতি প্রথম সন্তানের মতোই। আমি বইটি প্রকাশ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। বইটি প্রতিটি কবিতার একটা অনুভূতি আছে যা ছুঁয়ে যায়। প্রাপ্তিই সব কিছু নয়, অপ্রাপ্তিতেও একটা অন্যককম প্রাপ্তি আছে, যে প্রাপ্তি কখনো হারায় না, অক্ষত থাকে। পাঠক এই কাব্য থেকে একটু ভিন্ন স্বাদ পাবে বলে আমি মনে করি। এটি আমার প্রথম বই তাই ভালো লাগা, ভালোবাসার জায়গাটাও একটু বেশি।

কাব্যগ্রন্থটি সম্পর্কে তথ্য: এটি মূলত প্রেম ও দ্রোহের উপর (দ্রোহ কিছুটা প্রেমের উপর আর কিছুটা সামাজিক অসঙ্গতির উপর*) প্রপ্তি অপ্রপ্তি ফুটে উঠেছে। যেখানে প্রিয় মানুষটিকে পাবার কথা থাকলেও পাওয়া যায় না, যে বিষয়টা অর্জন করার কথা ছিলো সেটি অর্জন করতে পারি না। সময়ের ব্যবধানে কাছের মানুষগুলো দূরে সরে যায় সময়ের দাবিতেই। এই কাব্যগ্রন্থে ৪২টি কবিতা আছে

তৃতীয় পুরুষ নামের ব্যখ্যা: সবার জীবনে সবকিছু প্রাপ্ত হয় না, হয়তো কোথাও অপ্রাপ্তি থেকেই যায়। আমাদের কোন না কোন ক্ষেত্রে, কারো না কারো কাছ থেকে যে অধিকার পাবার কথা ছিলো তা পাই না। সেটা হতে পারে প্রিয় মানুষটি, পরিবার, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের কাছ থেকে। আমাদের প্রাপ্য অধিকার অন্য কেউ ছিনিয়ে নেয় আর তখন আমাদের হয়তো তখন নির্বাক দর্শক হয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করারা থাকে না। এই অনুভূতি এর নাম-ই ‘তৃতীয় পুরুষ’ যা লুকিয়ে আছে প্রতিটি মানুষের ভেতর। যা কবি ফুটিয়ে তুলেছেন কবিতার প্রতিটি পক্তিমালায়।

লেখক পরিচিতি: পলাশ প্রসন্ন সেনের জন্ম ১৯৯২ সালে মানিকগঞ্জ জেলার এতিহ্যবাহি বালিয়াটী গ্রামে। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি কনিষ্ঠ। দুরন্ত শৈশব কেটেছে এ গ্রামেরই আলো বাতাস আর কাদামাটির গন্ধে। তিনি বালিয়াটি ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ছোটবেলায় ঠাকুরমার মুখে নানান গল্প ও কিংবদন্তির কথা শুনে তার কবিতায় হাতেখড়ি। বিভিন্ন সময় তার কবিতা বিভিন্ন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। কাজ করেছেন বিভিন্ন টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনের শিল্পনির্দেশক হিসেবে। ছবি আঁকার পাশাপাশি ভালোবাসেন লিখতে ও বেহেলা বাজাতে। জড়িত ছিলেন মঞ্চ নাটকের সাথেও। 


সর্বশেষ সংবাদ