‘বান্ধবী’ বইয়ে ইংরেজি হরফে হিন্দিও লেখা আছে: রাবা খান

একুশে বইমেলায় ‘বান্ধবী’ নামে একটি বই লিখে এখন আলোচনায় উঠতি ইউটিউবার ও উপস্থাপক রাবা খান। বাংলা-ইংরেজির মিশেলে বইটি লেখায় তাকে নিয়ে সমালোচনাও চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। বিষয়টি নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন তিনি।

বইটি কেমন সাড়া ফেলেছে জানতে চাইলে রাবা খান সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘প্রকাশের প্রথম ৯ দিনে বইটির বিষয়ে তেমন কিছু বলা সম্ভব নয়। আমি মনে করি, এখনও ‘পাঠকের সাড়া’ পাওয়ার সময় আসেনি। তবে সেই সাড়া পাওয়ার জন‍্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’

বাংলা ও ইংরেজি মিশেলের কারণে বইটির সমালোচনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বইটিতে কিন্তু ইংরেজি হরফে হিন্দিও লেখা আছে, কারণ সেই একই। আমাদের প্রজন্ম যে হিন্দির প্রতিও ঝুঁকে পড়ছে বাজেভাবে- সেটা উপস্থাপন ও ব‍্যঙ্গ করা।’

তিনি আরো বলেন, ‘লেখালেখির জগতে আমি একদমই নতুন। নতুন কোনো কিছু শুরু করতে গেলে সেটাতে আলোচনা-সমালোচনা হতেই পারে। আমি এটাতে কান দিচ্ছি না। আমি মূলতঃ ‘হিউমার’ নিয়েই কাজ করি। তাই শুধু ভেতরে না, বইটির নামও ‘বাংলিশ’ করে আমি আমাদের ‘বাংলিশ’ প্রজন্মকেই একটু ব‍্যাঙ্গ করার চেষ্টা করেছি।’

রাবা খান বলেন, ‘ইংরেজি হরফে যেমন বাংলা লিখেছি, ওদিকে বাংলা হরফে কিন্তু ইংরেজি বা অন‍্যান‍্য ভাষা লেখা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। এমন কী বইয়ের নামেও কিন্তু বাংলা ও ইংরেজী হরফ মিলিয়ে লেখা প্রচ্ছদে গেছে অনেক প্রধান লেখকের। বাংলা হরফে ইংরেজি বা ইংরেজি হরফে বাংলায় লেখা অংশ’অলা বই বাজারে নতুন কিছু নয়। বিশ্ব সাহিত‍্যেও ইংরেজির ভেতর যার যার ভাষাতে সংলাপ লেখা হয়েছে আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত বইগুলোতেও।’

পরবর্তীতে আর কোনো বই লেখার পরিকল্পনা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রাবা বলেন, ‘এই মুহূর্তে শুধু ‘বান্ধবী’ নিয়েই ভাবছি। পরবর্তীতে কিছু আসবে কী না তা নিয়ে আমি এখনও চিন্তা করছি না। তবে এতটুকু বলতে পারি, আমার লেখার খাতায় বেশ কিছু গল্প জমে গেছে। এই বই নিয়ে ভালো সাড়া পেলে হয়তো আরেকটি বই বের হতেও পারে।’