কেন্দ্রীয় সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করায় মার খেলেন শেকৃবি ছাত্রলীগ নেতা!

  © টিডিসি ফটো

নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা। শুক্রবার দুপুরে শেরেবাংলা হলে এ ঘটনা ঘটে। পরে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

মারধরের শিকার ওই নেতার নাম আলী আহাদ। তিনি শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠুর গ্রুপের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।

মারধরের শিকার ওই নেতা জানান, শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির অনুমতি না নিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি নাহিয়ান খান জয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার ক্ষোভ থেকে এ হামলা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তার সিটের বিছানা-আসবাবপত্রও রুমের বাহিরে ফেলে দেওয়া হয়। তবে মারধরের বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু।

ভুক্তভোগী আলী আহাদকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মিঠু ভাইয়ের অনুসারীরা আমার সিট ফেলে দিয়েছে। সারারাত না ঘুমাতে পেরে আজকে জুমা’র নামাজ পড়ে না খেয়ে শেরেবাংলা হলের ৩১৫ নং রুমে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ ওই হলের উজ্জ্বল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনিক হাসান দুর্জয়সহ ৩০-৪০ জন রুমে এসে আমাকে থাপ্পড়, লাথি ও ঘুষাতে থাকে। এসময় উজ্জ্বল আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে।

বৃহস্পতিবারের ঘটনা সম্পর্কে আহাদ বলেন, আমি মিঠু ভাইয়ের অনুসারী না। ফলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিয়ান খান জয় ভাইয়ের সাথে দেখা করতে যাওয়ায় আমার প্রতি তাদের আগে থেকেই ক্ষোভ ছিলো। তারা গতকাল আমার টেবিলের বই ফেলে দিছে, ট্রাংকের তালাও ভাঙছে। ট্রাংক থেকে আমার ৭ হাজার টাকা হারিয়েছে। জামা কাপড় বাহিরে ফেলে দিয়েছে। আজ আমাকে মারধর করেছে। রাতে হলে ঢ়ুকতে দেয়নি। এখন আমি আমার জীবন নিয়ে শঙ্কিত।

তবে শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনিক হাসান দুর্জয় বলেন, আলী আহাদ ১৭ ব্যাচের জুনিয়র হয়েও ১৫ ব্যাচের সিনিয়রের গায়ে হাত তুলেছে। আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বেয়াদবি করে ক্ষমা না চাওয়া অবদি আহাদ হলের বাইরে থাকবে। সে আমাদের কথা না মানায় তার বিছানাপত্র ফেলে দেয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত উজ্জ্বল মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।

শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, যেখানে জুনিয়রকে স্নেহ করার কথা সেখানে ঘুমন্ত অবস্থায় মারধর, ছাত্রলীগের কর্মীদের থেকে এটা আশা করা যায় না। যারা এটি ঘটিয়েছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে শেকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু বলেন, আলী আহাদ এক সিনিয়রের সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। এ ঘটনায় তার রুমের বিছানাপত্র সিনিয়ররা ফেলে দেয় বলে শুনছি। তবে মারধরের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। 


সর্বশেষ সংবাদ