শেকৃবিতে জুয়ার আসরে অভিযান, কর্মচারীসহ আটক ১৯

  © লোগো

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) জুয়ার আসর থেকে আটক হয়েছে ১৯ জন। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে এই অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৫ বহিরাগত আর বাকিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী।

আটক হওয়া বহিরাগতদের শেরেবাংলা নগর থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে তাদেরকে জুয়া আইনে কোর্টে চালান করা হয়েছে বলে জানা যায়। আর আটক কর্মচারীদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নিবে বলে জানান উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর।

এ ব্যাপারে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী বলেন, জুয়ার আসর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীসহ ৫ বহিরাগতকে আটক করা হয়েছে। বহিরাগতদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এ ব্যপারে অবহিত করে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলীর নেতৃত্বে অভিযান চলে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির নিরাপত্তা কর্মচারীরা সহায়তা করেন। তারা কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কক্ষে অভিযান চালিয়ে ১৪ জন কর্মচারী ও ৫ জন বহিরাগতকে জুয়ার আসর থেকে আটক করেন।

আটক হওয়া কর্মচারীরা হলেন-প্যাথলজি বিভাগের ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট পলাশ কান্তি মন্ডল, অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সিনিয়র অ্যাটেন্ডেন্ট মো. নবীর, নিরাপত্তা শাখার গার্ড জাহাঙ্গীর, স্টেট অফিসের ঝাড়ুদার জুয়েল রানা, শ্রমিক মো. আরিফ হোসেন, কীটতত্ত্ব বিভাগের শ্রমিক মো. স্বপন, শিক্ষক সমিতির গার্ড দেলোয়ার হোসেন, শেরেবাংলা হলের ডাইনিং ম্যানেজার কবির হোসেন, অ্যানিমেল নিউট্রিশন বিভাগের ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট আশরাফুল, নিরাপত্তা শাখার গার্ড ইদ্রিস মৃধা, নিরাপত্তা শাখার গার্ড মো. ওসমান গনি, দোয়েল ভবনের লিফটম্যান মো. মাসুদ রানা, শ্রমিক মো. সোহেল হোসেন ও শেরেবাংলা হলের ক্যান্টিনবয় রুবেল হোসেন।

আর আটক হওয়া বহিরাগতরা হলেন- উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের শ্রমিক মানিকের ভাই চাঁন মিয়া, মিরপুরের সবজি ব্যবসায়ী মো. পলাশ, পাকা মার্কেটে রিক্সা ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন, আসাদুল ইসলাম ও আদাবর এলাকার ঠিকাদার সারোয়ার।

সূত্র জানায়, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট মোসলেম মূলত জুয়ার আসরের আয়োজক। তার নিয়ন্ত্রনে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার জুয়া চলে। কিন্তু তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। রবিবার অভিযানের আগে তিনি লক্ষাধিক টাকা নিয়ে সটকে পড়েন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফরহাদ হোসাইন জানান, সরেজমিনে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও বহিরাগতরা মিলে সমিতির কার্যালয়ে জুয়া খেলছে। এসময় কিছু টাকাসহ জুয়া খেলার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রবিবার রাতে জুয়ার থেকে ৫ জনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন। তাদেরকে জুয়া আইনে কোর্টে চালান করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ