রোজার মাসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের এসব কী খাওয়ানো হচ্ছে?

পঁচা ও বাসি খাবারের পার্সেল
পঁচা ও বাসি খাবারের পার্সেল  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বিভিন্ন হোটেলে রোজার মাসেও মিলছে পঁচা, বাসি ও দূর্গন্ধযুক্ত খাবার। এসব খাবার খেয়ে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড়ের দুটি হোটেলে পঁচা ও বাসি খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া যায়।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান হাসিব অভিযোগ করেন, সেহেরীর সময় সজিব হোটেল থেকে আমি এবং আরও চারজন মুরগি, গরু ও ডালের একটি খাবারের পার্সেল ক্রয় করি। হলে এসে মুরগির প্যাকেট খোলার পর বাজে গন্ধ বের হয়। বাসি ডাল দিয়ে দোকানদার বলেন— ডালে আম দেওয়ার কারণে ডাল টক হতে পারে। আগের দিনের রান্না করা মুরগী আজকের সেহেরীর বলে বিক্রি করে দিচ্ছে এভাবেই। এ খাবার খেয়ে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়েছি।

ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনেকে অনুরূপ অভিযোগ করেন, হলগুলোর ডায়নিং বন্ধ থাকার কারণে ক্যাম্পাসের ভিতরের হোটেলগুলোতেই আমরা প্রতিনিয়ত খাবার খেয়ে থাকি। ক্যাম্পাসের মদিনা, বিসমিল্লাহ, ভাই ভাই, মিলন, চাঁদনিসহ প্রায় প্রতিটি হোটেলের চিত্র একই রকম।

এ ধরনের নোংরা পরিবেশে নিম্নমানের খাবার প্রস্তুত ও চড়া দামে বিক্রি হলেও প্রশাসনের কোনো নজরদারি চোখে পড়ে না। অবহেলা ও সুষ্ঠু নজরদারির অভাবে হোটেল মালিক, কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এদিকে খাবারের মান খারাপ হলেও দাম দিনের পর দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সজিব হোটেলের মালিক রুবেল হোসেন অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আসলে ওই রাতে আমাকে না জানিয়ে হোটেলের কর্মচারীরা টক ডাল কাস্টমারের কাছে বিক্রি করেছিল। আগে এমনটা কখনই ঘটে নাই, ভবিষ্যতে এমনটা আর হইব না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক বলেন, হোটেলগুলোর খাবারের মান উন্নয়ন ও ভেজাল ঠেকাতে রমজানের শুরুতে আমরা বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়েছি। পরবর্তীতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। যে হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিটি হোটেলে খাবারের মূল্যতালিকা টাঙানোর জন্য হোটেল মালিককে আমরা সময় নির্ধারণ করে দিয়েছি।


সর্বশেষ সংবাদ