টেকসই কৃষির জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: আরেফিন সিদ্দিক

  © টিডিসি ফটো

কৃষি সাংবাদিকতা বিকাশে কর্ম পরিকল্পনার তাগিদ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, দেশের কৃষিখাত উন্নত হলেও এখনও আমরা কৃষিকে একটি টেকসই খাত হিসেবে পরিচিত করতে পারিনি।আমরা কৃষিকে বাণিজ্যিক রূপ দিতে চাচ্ছি অথচ কৃষিকে আমরা আকর্ষণীয় ভাবমূর্তির প্রদান করতে পারিনি। টেকসই কৃষির জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (শেকৃবিসাস) উদ্যোগে ‘ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল অনুষদ ভবনের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, গণমাধ্যমে রাজনীতি, বিনোদন, ক্রীড়া ইত্যাদির কদর থাকলেও অধিকাংশ গণমাধ্যমে কৃষির জন্য আলাদা কোন বিট নেই। আবার উচ্চ শিক্ষায় কৃষি সাংবাদিকতার কোন বিষয় নেই।এ বিষয়ে ভাবনার সময় এসেছে। কৃষির এই বর্তমান সংকট কাটাতে গণমাধ্যম ও কৃষি সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে শেকৃবিসাসের সদস্যদের ২০১৮-১৯ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে সেরা প্রতিবেদককে পুরষ্কৃত করা হয়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য বাংলানিউজের মো.মহিবুর রহমান সবুজ, কৃষিবিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য ডেইলি অবজারভারের আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের এবং ফিচারের জন্য দৈনিক কালের কন্ঠের মো.শাহাদত হোসেন পুরষ্কৃত করা হয়েছে।

এর আগে শেকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও শেকৃবিসাসের সাধারণ সম্পাদক রাকিব খানের সঞ্চালনায় ‘ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের সিনিয়র রিপোর্টার সোলাইমান নিলয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেকৃবির প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ, ছাত্র পরামর্শক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে জিমস টেক ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং পার্টনার ডা. এম আলী ইমাম ও প্রিয় অতিথি হিসেবে জিটিভির চিফ রিপোর্টার রাজু আহমেদ বক্তব্য প্রদান করেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির প্রতিনিধিসহ শেকৃবির বিভিন্ন অনুষদের ডীন, প্রশাসনের বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শেকৃবিসাসের প্রাক্তন সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ