সিকৃবিতে বিশ্ব সমুদ্র দিবস পালিত

বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষ্যে উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের র‌্যালি
বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষ্যে উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের র‌্যালি  © টিডিসি ফটো

‘জোয়ার পরিবর্তনে স্পন্দন হারাচ্ছে সমুদ্র’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) বিশ্ব সমুদ্র দিবস পালিত হয়েছে। সমুদ্র সম্পদের সংরক্ষণ এবং সুরক্ষায়  শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে দিবসটি উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বৃ্হস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা'র নেতৃত্বে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মিলিত হয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা যে পানি দূষণ করছি তা সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। এতে সমুদ্রে বাসকারী জীব প্রজাতির উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। সমুদ্র দূষণ কমাতে আমাদের সচেতন হতে হবে।

ব্লু ইকোনমির গুরুত্ব উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, সমুদ্রে যে পরিমাণ সীমানা রয়েছে তা আরেকটি বাংলাদেশের সমান। অপার সম্ভাবনার বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান ও গবেষণা আরও বাড়াতে পারলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে।

উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা সামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. পার্থ প্রতীম বর্মন।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলনে প্রতিবছর ৮ জুন বিশ্ব সমুদ্র দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে বছর প্রথমবারের মতো দিবসটি পালন করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব সমুদ্র দিবস পালনের বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। এবছর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব সমুদ্র দিবস পালিত হলো।


সর্বশেষ সংবাদ