রাবির এক ইউনিটে ‘প্রথম’, অন্যটায় ফেল হাসিব

হাসিবুর রহমান
হাসিবুর রহমান  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটে অ-বিজ্ঞান শাখায় এক পরীক্ষার্থীর মানবিক থেকে প্রথম হয়ে ‘এ’ ইউনিটে ফেল করার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমানের ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার চিফ কো-অর্ডিনেটর ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. একরামুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত হাসিবুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট থানার বাড়ইপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। হাসিব ২০১৯ সালে রাজশাহীর নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, হাসিব চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের অ-বিজ্ঞান থেকে অংশ নেন। গত ৬ ও ৭ নভেম্বর যথাক্রমে ‘সি’ ও ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় গ্রুপ-২ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে (রোল ৫৪২৩৩) এমসিকিউ’য়ে তিনি পেয়েছেন মাত্র ২০ নম্বর। যে কারণে পরীক্ষার শর্তানুযায়ী তার লিখিত খাতা মূল্যায়নের অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।

তবে সি ইউনিটের (বিজ্ঞান) অ-বিজ্ঞান শাখায় মানবিক থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে (রোল ৮০৩১৮) হাসিব এমসিকিউয়ে ৬০ এর মধ্যে ৫৪ ও লিখিততে ৪০ এর মধ্যে পেয়েছেন ২৬ নম্বর।

বিশ্ববিদ্যালয় ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার চিফ কো-অর্ডিনেটর ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. একরামুল হামিদ বলেন, হাসিবের একটি ইউনিটে ফেল করে অন্য বিভাগে প্রথম হওয়ার বিষয়টি জানার পর ২৫ নভেম্বর তাকে ডেকে কথা বলা হয়। পরে ২৬ নভেম্বর বিষয়টি নিয়ে আরও কথা বলতে ডিন অফিসে আসতে বলা হয়। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পর্যন্ত আসেনি হাসিব। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ওর দুটি ইউনিটের খাতাই দেখেছি। প্রাথমিক তদন্তে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তির প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুই খাতায় হাতের লেখার মধ্যে গড়মিল পাওয়া গেছে। তাই আমরা তার ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছি। তদন্ত শেষে জালিয়াতির বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ