ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

পাশের শর্ত শিথিল করে সি ইউনিটের ফল প্রকাশ

‘সি’ ইউনিটের সমন্বয়কারীরা  উপাচার্যের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল হস্তান্তর করেন।
‘সি’ ইউনিটের সমন্বয়কারীরা উপাচার্যের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল হস্তান্তর করেন।  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভূক্ত ‘সি’ ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রশ্নের সঙ্গে উত্তরপত্রের অমিলের অভিযোগ ওঠার পরও ‘সি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ফলাফলে পাশের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। পাসের হার করা হয় ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে ‘সি’ ইউনিটের সমন্বয়কারী সদস্যরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল হস্তান্তর করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৪৫০ আসনের বিপরীতে পাঁচ হাজার ৯৬৪ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে পাস করেন ৮৩২ জন। তবে মেধা ও অপেক্ষমান তালিকায় থাকা মাত্র ৩০৫ জন শিক্ষার্থী ইউনিটের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষায় সাত নম্বর পেয়ে পাস করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাণিজ্য শাখায় ৩৬০ আসনের মধ্যে মাত্র ৬২ জন শিক্ষার্থী ইউনিটের দেওয়া শর্তানুযায়ী পাস করেন। যার ফলে অবাণিজ্য শাখায় ২৯৮ আসনই ফাঁকা ছিল। পরে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির এক মিটিংয়ে ইউনিটের দেওয়া শর্তানুযায়ী লিখিত পরীক্ষায় নির্ধারিত নম্বর শিথিল করে ৭ থেকে ৩ করা হয়। এর ভিত্তিতে ৩৬০ জনকে মেধা এবং ২২৯ জন শিক্ষার্থীকে অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়। এছাড়া অবাণিজ্য শাখায় ৯০টি আসনের বিপরীতে ২৪৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর এক শিফটে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ওএমআর শিট (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) অমিলের অভিযোগ ওঠে। পরে ৬ নভেম্বর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৫ নভেম্বর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বহাল রাখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


সর্বশেষ সংবাদ