এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮৬, পাস ৭৭৮

  © ফাইল ফটো

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান বোর্ড পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।  এখন পর্যন্ত দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে আটটি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। 

এসব বোর্ডে তিন হাজার ২৯১ জন শিক্ষার্থীর প্রাপ্তনম্বর পরিবর্তন হয়েছে।  এদের মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ৭৭৮ জন এবং নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮৬ জন।  বাকিদের বিভিন্ন গ্রেডে ফল পরিবর্তন হয়েছে। শনিবার বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

১০টি বোর্ডে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফল যাচাই করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ফল পরিবর্তন হয়েছে ঢাকা বোর্ডে।  এ বোর্ডে মোট এক হাজার ৯৫৫ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।  যার মধ্যে ফেল করে পাস করেছে ৫৪০ জন।  নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬৪ জন।

চট্টগ্রাম বোর্ডে ৪০৯ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।  এদের মধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৮ জন, ফেল থেকে পাস করেছে ৭৩ জন।  দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে মোট ৩৬২ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।  এদের মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ২৪ জন, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬২ জন।

সিলেট বোর্ডে মোট ৫৫ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।  এদের মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ১৭ জন, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ জন।  কুমিল্লা বোর্ডে মোট ২৩৯ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।  এদের মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ৬৪ জন ও নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন।

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে মোট ১৮ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।  এদের মধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, তবে ফেল থেকে নতুন করে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি।  যশোর বোর্ডে মোট ১০৮ জনের জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে।  এদের মধ্যে নতুন করে পাস করেছে ৪১ জন, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ জন।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট ফল পরিবর্তন হয়েছে ৭২ জন পরীক্ষার্থীর।  এদের মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ১৯ জন, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ শিক্ষার্থী।

বোর্ড সংশ্লিষ্টরা জানান, শিক্ষকদের অনিহা, অবহেলার কারণে প্রতি বছর খাতা চ্যালেঞ্জ করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে।  তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় খাতা চ্যালেঞ্জ করার পরিমাণ বাড়লেও এবার ফল পরিবর্তনের সংখ্যা কমেছে।  এবার মডেল পদ্ধতিতে খাতা দেখায় ভুলের পরিমাণ কমে আসছে।

একাধিক বোর্ড কর্মকর্তা বলেন, পুনঃনিরীক্ষণে সাধারণত মোট চারটি দিক দেখা হয়।  এগুলো হলো- উত্তরপত্রে সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেয়া হয়েছে কি-না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি-না, প্রাপ্তনম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কি-না এবং প্রাপ্তনম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটে বৃত্ত ভরাট ঠিক আছে কি-না। এসব বিষয় পরীক্ষা করেই পুনঃনিরীক্ষার ফল দেয়া হয়েছে বলে বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বলেন, পরীক্ষকদের অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।  অভিযুক্ত পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবো।  বোর্ডে থেকে উত্তপত্র মূল্যায়নে উদাসীন শিক্ষকদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ